Saturday 1 February 2014

মধুর মিলন এবং পরর্বতী করনীয়


maxresdefault“সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সবটুক সুখ” শব্দটি শুধু শুনতে নয় এর সার্থকতায় রয়েছে মূল আনন্দ। আধুনিক সমাজে ধীরে ধীরে যখন বিপুপ্ত হচ্ছে যৌথ পরিবার, তখন একটি শব্দ বহুল ব্যবহুত হচ্ছে, আমি(স্বামী), তুমি(স্ত্রী)  এবং গুলুগুলু ( একমাত্র সন্তান)। আর এই একক পরিবারের জন্য  বর্তমান বিশ্বে পারিবারিক স্বাধীনতার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এই আবিষ্কার নারী জাতিকে তার স্বকীয়তা ও অধিকার আদায়ের ব্যপারেও ব্যপক সাহায্য করেছে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের পরিবারকে সুন্দর ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

শীতে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা


image_13908_0-300x183“পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ”। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নাতার জন্য গোসলের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকি তাই সারাদিনের ক্লান্তি ও ময়লা দূর করে আমাদের সজিব ও সুস্থ রাখতে গোসল অপরিহার্য। অনেকেই আছেন যারা গরমকালে দুই থেকে তিনবার গোসল করেন আর শীতকালে দুই-তিনদিন পর গোসল করেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। দেহমন সুস্থ্য রাখতে শীতকালেও নিয়মিত গোসল করা উচিৎ। সবসময় সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকতে নিয়মিত গোসলের কোনো জুড়ি নেই।

খেয়ে ওজন কমান আর ফিট থাকুন


Weight-loss22
।।সামিউল ইসলাম শোভন।।
একটা ফিট শরীর কে না চায়? ফিট শরীর যেমন নিজেকে সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে ঠিক তেমন ব্যেক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। বাড়তি ওজন সবার কাছেই অনেকটা অভিশাপ স্বরূপ।
অনেকেই আছেন যারা নিজেদের বাড়তি ওজন নিয়ে সবসময় বিব্রতবোধ করেন। এ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। আর এই ওজন কমাতে গিয়ে সবাই যে ভুলটা সবার আগে করে থাকেন সেটি হল কেবল খাদ্যের দিকে নজর দেন,কিন্তু কী পানীয় গ্রহণ করেন সেদিকে তেমন লক্ষ্য করেননা।
উল্লেক্ষ্য, আমেরিকানরা প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন এর এক পঞ্চমাংস আসে পানীয় থেকে। যেসব কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়ঃ দেহের চাহিদার অতিরিক্ত খাওয়া বিশেষ করে ফ্যাট, কালসিয়াম ও ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। মদ্যপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ঘুম, স্টেরয়েড এবং অন্যান্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহনের ফলেও ওজন বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত আরাম আয়েশ ও শরীরিক পরিশ্রম কম ফলে দেহে চর্বিজমে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। ওজন কমাতে যেসব পানীয় গ্রহণ করবেনঃ
২। কালো কফি : ক্যাফিন চাই সামান্য। সোডা বা এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে কফি ভালো। ব্ল্যাক কফি হলো ক্যালোরি মুক্ত এন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। মধ্যম পরিমাণে কফি পান (দিনে ৩-৪ কাপ) মন মেজাজ, মনোযোগ ভালো করে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, এটি ক্যান্সার রোধীও বটে।
৩। সব চেয়ে হিতকর হলো ‘পানি পান’ : কার্বনেটেড কোমল পানীয়ের বদলে ‘কেবল পানি পান’ করলে প্রতি দিনে শত শত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বাঁচা যায়। হিত এখানেই শেষ হয় না। খাওয়ার আগে দুগ্লাস পানি পান করলে পাকস্থলী অনেক দ্রুত ভরাট বোধ করে, তাই খাওয়া হয় কম। এছাড়া নতুন গবেষণায় দেখা যায়, প্রচুর পানি পান করলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে দেহ বিপাকের উপর।
৪। সবুজ চায়ের বিকল্প নেই : সামান্য ক্যাফিনের সন্ধানে থাকলে গ্রীন টি হলো ভালো utso। এটি কেবল যে ক্যালোরি মুক্ত তাই নয়, কিছু গবেষণা বলে, সবুজ চা পানে ওজনও কমে। কিভাবে তা ঘটে, জানি না, তবে ক্যাফিনও ক্যাটেবিন নামে অনুপুষ্টির এতে ভূমিকা আছে। দিনে দু’বার সবুজ চা পান ভালো। ককটেল, মদ্য, কুলার সব হলো ক্ষতিকর পানীয়। হালকা বিয়ার ও ভালো না।
৫। সবজির রস বেশ ভালো : সবজির রস বেশ পুষ্টিকর, ফলের রসের অর্ধেক ক্যালোরি। এক কাপ টমেটো জুসে আছে ৪১ ক্যালোরি, কমলার রসে সে পরিমাণে রয়েছে ১২২ ক্যালোরি। ফলের নরম শাস বা সবজির শাস সহ জুসে আঁশও পাওয়া যায় ভালো। বাজারে ভেজিটেবল মকেটল বেরিয়েছে এগ্রোভিত্তিক, খামার যারা করেন এদের তৈরি। খেতে মন্দ লাগলো না। ক্ষুধাও কমে যায়।
৬। ক্ষতিকর হলো এনার্জি ড্রিংক : সোডার মতই ক্যালোরি বোমা হলো স্ট্রোটস্ ও এনার্জি ড্রিংক। এদের মধ্যে পুষ্ট গোণ করা হলেও অনেক কম ক্যালোরি খাদ্যেও থাকে সে সব পুষ্টি। যারা ওজন কমাতে চান এবং স্লিম থাকতে চান তারা এসব পানীয় না পান করে কেবল শুধু পানি পান করবেন। যেসব খাবার বেশি খাবেনঃ
১। আপেলঃ প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে শরীরের মেদ কমতে থাকে।  আপেলের খোসা খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমায়।
২। মটরশুটিঃ মটরশুটিতে কম মেদ হয় এবং শরীরে অনেক শক্তি ও পুস্টি যোগায় ।  এটি বিপাকীয় পরিবেশের জন্ন্য উত্তম খাদ্দ্য।
৩। আদাঃ আদা এমন একটি খাদ্য যার গুনের sesh নেই। ওজন কমাতে সবসময় আপনার খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন। ওজন কমানো ছাড়াও আদা হজমে সাহায্য করে, এসিডের সমস্যা সমাধান করে।
৪। ডিমের সাদা অংশঃ মেদ কমানোর অন্যতম খাদ্য হল ডিমের সাদা অংশ।  এই সাদা অংশ মেদ ও ক্যালরি কমানোর অন্যতম উপাদান। খাদ্যে বিদ্যমান কলেস্টেরল ব্যাপক প্রভাব ফেলে শরীরের রক্তের কলেস্টেরলে। ডিমের সাদা অংশ অনেক বেশি ফ্যাটি এসিড এবং প্রোপটন সমৃদ্ধ যা সমন্বয় করে শরীরের মেদ কমায়। ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় পরির্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে একটি খাদ্য তালিকার বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
সকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, একবাটি সবজি সিদ্ধ, ১ বাটি কাঁচা শশা। শশা ওজন কমাতে জাদুর মত কাজ করে। দুপুরঃ ৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ বা মুরগির ঝোল ১ বাটি। এক বাটি সবজি ও শাক, শশার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই। বিকালঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট ২টা। রাতঃ আটার রুটি তিনটা, একবাটি সবুজ তরকারি, একবাটি ডালম টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ এবং মাখন তোলা দুধ। লক্ষ্যণীয়ঃ দৈনিক এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহে প্রোটিনের অভাব থাকে না। ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তির খাদ্য ৬০ গ্রাম প্রটিন হলেই ভাল হয়। প্রতি মাসে একদিন ওজন মাপতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে ওজন বাড়ার হার কম না বেশী। ওজন বৃদ্ধি অসুখের লক্ষণ। মেদ বা ভূড়ি এদের অতিরিক্ত ওজন কোনটাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। বরং নানা অসুখের কারণ হয়ে দেখা দেয় একথা সব সময় মনে রাখবেন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হবেন।

মধুর গুন


।।সামিউল ইসলাম শোভন।।
মধুর গুণের কোন শেষ নেই।মধু উপকারিতা বর্ণনা করে শেষ করতে হিমশিম খেতে হয়। নিচে মধুর উল্লেখযোগ্য ৬টি গুণের কথা বর্ণনা করা হল।
১। ত্বক  ভালো করে : মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান। সকালে ত্বকে মধু লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও চলে যায়।
২। ওজন কমায় : প্রতিদিন সকালে মধু খেলে ওজন কমে। দ্রুত উপকার পেতে খালি পেটে হালকা  গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেতে হবে। প্রতিদিন খেলে লিভার পরিষ্কার  থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়।
৩। হৃদপিন্ডের সমস্যায় ঝুকি হ্রাস: মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়ো  মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের  পরিমাণ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারুচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে এবং যারা ইতোমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন  তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
৪। হজমে সাহায্য করে: মধু পেটের অম্লভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
৫। শক্তি বাড়ায় : মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং কর্মঠ রাখে।
৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মধুতে আছে প্রচুর  মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে এবং  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা  লাগা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।

আলসার হওয়ার কারণ ও প্রতীকার



4-Peptic_ulcer
ইমরান সাহেব বয়স ৩৫ কোঠায়।তিনি কাজ করছেন একটি এস.ই.ও কম্পানিতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করেন।সব সময় কাজের বেস্ততার মধ্যে থাকেন। তাই খাবারের কোনো ঠিক নেই।নিজের দিকে তাকানোর মতো সময়ও নেই।তিনি প্রায়ই খেয়াল করছেন মাঝে মাঝে পেটের ওপরের দিকে ব্যথা করছে। শেষরাতে বেথাটা একটু বেশি করে। হঠাৎ রমজান মাসের প্রথম দিকে পেটের সমস্যাটা যেন অনেক বেড়ে গেল।
কিছু গ্যাসের ওষুধ নিজেই কিনে খেলেন। দু-তিন দিন ভালো বোধ হলো, তারপর যা তা-ই।তারপর তিনি ডাক্তার দেখালেন।
বিভিন্ন পরীক্ষা ও এন্ডোস্কোপি করার পর ডাক্তার বললেন, পেটে আলসার হয়েছে ।ডাক্তার সে অনুযায়ী চিকিৎসাপত্র দিয়ে বললেন, ঠিকমতো ওষুধ খেলে এবং নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা একদম ভালো হয়ে যাবে; অন্যথায় এই আলসার থেকে খুব খারাপ অসুখ।আলসার থেকে ক্যান্সারেও গড়াতে পারে।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পেপটিক আলসারে ভুগছেন কিন্তু কখনোই গুরুত্ব দেননি।কিন্তু এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক অসুখ।একটু সচেতনতা, এ রোগ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা এবং দেহের প্রতি সামান্য যত্নের সাহায়্যেই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সম্ভব।
পেপটিক আলসারের কারণ-
- কম পানি ও ফলমূল গ্রহণ করলে
- খাবারে অরুচি
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে
- দীর্ঘদিন ধরে খাবার খেতে অনিয়ম করা
- পেটের ওপরের দিকে চিনচিন করে ব্যথা অথবা অস্বচ্চিবোধ
- জীবাণুর আক্রমণ, যেমনথ হেলিকোব্যাকটার পাইলরি দিয়ে সংক্রমিত হলে
- অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করলে
লক্ষণ
- যদি পেটের আলসারের ব্যথার সঙ্গে পেছনে পিঠের দিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। অনেক সময় আলসারের – বমি বমি ভাব
- বমি হতে পারে
- অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক অন্যান্য ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- টক ঢেঁকুড় ওঠা অথবা পেটে গ্যাস সৃষ্টি হওয়া
- আ্যান্টাসিড ট্যাবলেট অথবা তরল অ্যান্টাসিড সেবন করতে পারেন।
- কালো রঙের পায়খানা অথবা রক্তমিশ্রিত পায়খানা হওয়া
যা করতে হবে
- আলসার প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পানি অথবা তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কিন্তু দুধ খাবেন না; কারণ এটি এসিড নিঃসরণ আরো বাড়ায়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
- যদি রক্তবমি হয় অথবা কফি বা কালচে রঙের বমি হয়
কারণে পাকস্থলী অথবা অন্ত্র ছিদ্র হয়ে গেলে এ রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- যদি কখনো শরীর দুর্বল ও অবসাদগ্রচ্চ অথবা দেহ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় আলসারের কারণে পেটের মধ্যে অনেক রক্তক্ষরণ হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
- যদি কখনো কালো রঙের অথবা রক্তমিশ্রিত পায়খানা হয়।
- পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে।
- বেশি করে পানি ও ফলমূল গ্রহণ করুন
- যদি আলসারের লক্ষণগুলো দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী থাকে।
প্রতিরোধ
- অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন
- নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মমাফিক পুষ্টিকর খাবার খান
- অতিরিক্ত খাবার খাবেন না
- টেনশন পরিহার করুন
- ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক যেকোনো ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন
- খালি পেটে দীর্ঘ সময় থাকবেন না
- যেসব খাবারে অরুচি হয়, সেগুলো জোর করে খাবেন না
- সময়মতো এবং নির্দিষ্ট দিন ধরে ওষুধ না খেলে এই রোগ বারবার হয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মমাফিক ও নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ওষুধ সেবন করা উচিত।
ওষুধ থেকে যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অনেক বেশি কার্যকর । একটু সচেতনতা এবং নিয়মমাফিক জীবনধারণের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারি এবং উপভোগ করতে পারি এক সুস্থ ও সুন্দর জীবন।

দাঁতের যত্নে কলার খোসা


download-1মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে দাঁত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দাঁত মুখের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষই দাঁতের যত্নের ব্যাপারে উদাসীন। ফলশ্রুতিতে অল্প বয়সে অনেকেই আমরা দন্তহীনতা বা কৃত্রিম দাঁতের উপর নির্ভর হয়ে পড়ি। তাই দাঁত হারানোর পূর্বেই আমাদের দাঁতের যত্ন সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত । আসুন জেনে নিই কলার খোসা দিয়ে কীভাবে দাঁতের যত্ন নেওয়া যায়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে দাঁতের যত্নে কলার খোসার উপকারিতা একটি পরীক্ষিত সত্য। কলাতে প্রচুর পরিমান পটাসিয়াম রয়েছে। কলা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। এছাড়াও কলার খোসা আপনার দাঁতকে আরও মজবুত ও সাদা করে তুলতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, যদি কোন ব্যক্তি দুই মিনিট ধরে কলার খোসা দাঁতের উপর ঘষে তবে এটি দাঁতের উপরে থাকা ময়লা ও দাগ দূর করে দাঁতকে সাদা করে তুলবে। মিনারেল ও ভিটামিনে ভরপুর কলার খোসা দাঁতের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। যা দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলতে পারে।
এছাড়া অন্য কোন উপায়ে আপনার দাঁতকে উজ্জ্বল করতে চাইলে আপনাকে খরচ করতে হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে দাঁতকে সুন্দর করতে চাইলে প্রথমে কলার খোসা দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন, তার পর ব্রাশ করুন। আর এর জন্য আপনাকে এক টুকরা কলার খোসা নিতে হবে আর দাঁতের চারপাশে ২ মিনিট ধরে ঘষতে হবে।
আর মাত্র ১৪ দিন এভাবে চেষ্টা করলেই, আপনি পেয়ে যাবেন অতি সুন্দর ঝকঝকে দাঁত, যেমনটি আপনি জন্মের সময় পেয়েছিলেন। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরোডা রাজ্যের দাঁতের ডাক্তার ড্যারেন নিজের উপর এই পরীক্ষা চালান এবং মাত্র চৌদ্দ দিনেই তিনি এর ফল পান।
কীভাবে কলার খোসা দিয়ে দাঁত মাজবেন:
১. স্বাভাবিক নিয়মে আপনি দাঁত মাজতে পারেন নতুবা কলার খোসাকে ব্রাশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসাতে থাকা পটাসিয়াম দাঁতের উপরে থাকা ময়লা দূর করে দাঁতকে মজবুত করে তোলে।
২. একটি কলার খোসার টুকরা নিন, তারপর দাঁতের চারপাশে আস্তে আস্তে ২ মিনিট ঘষুন। যা আপনার দাঁতকে সাদা করে তুলবে।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে একই ভাবে কলার খোসা দিয়ে দাঁত মাজুন। এভাবে কিছুদিন করলেই আপনার দাঁতে জমা পাথর সরে যাবে।
৪. দিনে দুইবার কলার খোসা দিয়ে দাঁত মাজলে আপনার দাঁত হয়ে উঠবে আপনার শুরুর দিনের দাঁতের মত। দাঁত হবে আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল।



“ইচ্ছা ছিল ৩০০ বস্তা চাল দান করব আটরশি হুজুরের দরবারে”

Shohel---20020140129152751‘এটাই আমার বড় ভুল হয়েছে, আমি যদি আগে পীরের দরবারে চাল পৌঁছে দিতাম, তাহলে হয়তো ধরা খেতাম না’- সোহেলের এই কথা শুনে উপস্থিত র‌্যাব কর্মকর্তারা সবাই হেসে ওঠেন। তবু সোহেল থামেননি, তিনি বলেই চলেছেন তার বোকামির কথা। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এত টাকা নিয়ে আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কী করব ভেবে উঠতে পারছিলাম না।’
‘ইচ্ছা ছিল ৩০০ বস্তা চাল দান করব আটরশি হুজুরের দরবারে। কিন্তু আমার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো না। তার আগেই ধরা পড়ে গেলাম। আমার মনে হয়, হুজুরের দরবারে চাল পৌঁছে দিতে পারলে আর ধরা পড়তাম না।’
এই সরল স্বীকারোক্তি কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটকারী সোহেলের।
র‌্যাবের হেফাজতে এমন আরো কিছু মজার এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সোহেল। তিনি জানিয়েছেন কীভাবে টাকার বস্তাগুলো ঢাকায় আনা হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ। সোহেল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন লুট করা টাকার বস্তাগুলো রিকশাভ্যানে করে এনে বাসের ছাদে ওঠান। পরে রাতে স্বীকার করেন টাকার বস্তাগুলো বাসে নয়, ট্রাক ভাড়া করে ঢাকায় আনা হয়।
সোহেল জানান, ফরিদপুরের আটরশির ওরস শরিফে চাল নিয়ে যাবে- এ কথা বলে ট্রাক ভাড়া নেন তিনি। ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন ট্রাকটি। পরে চালককে নয়ছয় বুঝিয়ে নেওয়া হয় রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায়।
‘এর আগে শনিবার বিকেলে সুড়ঙ্গ দিয়ে যখন টাকার বস্তাগুলো বের করে আনছিলাম, তখনই নিয়ত করি আটরশি পীরের দরবারে ৩০০ বস্তা চাল দান করব। কিন্তু আমার কপাল খারাপ, নইলে কি এই অবস্থা হয়?’ নিজেকে এমন প্রশ্ন করে সোহেল আরো বলেন, ‘টাকার বস্তা ট্রাকে তুলে ওই রাতেই ঢাকায় পৌঁছাই। পথে আসতে আসতে ভাবি আগে টাকাগুলো নিরাপদে রাখি, তারপর চাল কিনে আটরশি চলে যাব। এটাই আমার সবচেয়ে ভুল হয়েছে।’

শত শত যৌন ক্রীতদাসী ছিলো গাদ্দাফীর!!

gd

লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বহু তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘স্টোরিভাইল: ম্যাড ডগ- গাদ্দাফিস সিক্রেট ওয়ার্ল্ড’ নামে ডকুমেন্টারিটিতে প্রধানত গাদ্দাফির প্রাসাদের অভ্যন্তরের খবর বিভিন্ন মানুষের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
নতুন প্রকাশিত এক ডকুমেন্টরিতে দেখা গেছে, বিশেষ এক সুরক্ষিত বাড়িতে শত শত ছাত্রী ও তরুণীকে যৌন ত্রীতদাসী হিসেবে ব্যবহার করতেন।
সম্প্রতি এ ঘটনা প্রকাশ করেন একজন নারী। তিনি গাদ্দাফির এ ধরনের একটি আস্তানা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। এক নারীকে গাদ্দাফির বডিগার্ডর ধরে নিয়ে আসে। এরপর তাকে নগ্ন করে সেভ করানো হয় এবং মেকআপ করে জি-স্ট্রিং নামে একটি পোশাক পরানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনামলের অন্ধকার দিক তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ওই সুরম্য বাড়িতে যেসব ক্রীতদাসীদের আনা হত তাদের সবাই ছিল কুমারী ছাত্রী।দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে তাদের নিয়ে আসা হতো। এরপর তাদের সাতে আনন্দ বিনোদন করতেন গাদ্দাফি। তবে তাদেরকে তিনি যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেক সময় তাদেরকে ‘শিক্ষা’ হিসেবে জোরপূর্বক পর্নোগ্রাফি দেখতে বাধ্য করা হতো। যে বাড়িতে তাদের রাখা হতো, তাতে বিশেষ ধরনের কক্ষ ছিল। ওই বাড়িকে অনেকে ‘হেরেম খানা’ বলেও ডাকত। তাতে ডাক্তারি যন্ত্রপাতিসহ বিশেষ ধরনের যন্ত্র ও মেশিন দেখানো হয়েছে। এসব মেশিন ও যন্ত্র দিয়ে যৌন ক্রীতদাসীদের জোরপূর্বক মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে গর্ভপাত করানো হতো।
গাদ্দাফি সম্পর্কে নারী নির্যাতনের এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তার মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরে। তবে যেসব তরুণীদের নিয়ে আসা হত তার কথিত হেরেমে, তাদের বিশেষ সুযোগ সুবিধাও দিতেন এই লৌহ মানব গাদ্দাফি।

গণধর্ষণে মারা গেলো পুরুষ!

rape man
প্রতিদিন ই পৃথিবী তার নতুন মহিমায় আবির্ভূত হচ্ছে।তবে কখনও তা স্বাভাবিক হলেও অনেক সময় আমাদের কাছে একটু অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
এতদিন গণধর্ষণের শিকার হয়ে এসেছেন কেবল নারীরাই। আর ধর্ষকের ভূমিকায় থেকেছে পুরুষ। এবার ঘটলো ঠিক তার উল্টো ঘটনা।
নাইজেরিয়ায় এক ব্যবসায়ী তার পাঁচ বউয়ের দ্বারা ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ঐ ব্যক্তির নাম ইউরোকো ওনোজা। তার মোট ছয় স্ত্রী ছিল।
ওনোজা সারা রাত বাইরে পার্টিতে ছিল। তখন তার ৬ বউ তার সঙ্গ পেতে অপেক্ষা করছিল। ভোররাতে বাসায় ফিরে সে তার সবচেয়ে ছোট বউয়ের ঘরে যায়। এতে তার বাকি ৫ বউ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও ছুরি নিয়ে তার বেডরুমে যায় এবং তাদের সাথে মিলনের জন্য জোর করতে থাকে।তারপর ওনোজা একে একে চার বউয়ের সাথে যৌন মিলনে বাধ্য হয়। পঞ্চম বউয়ের সাথে মিলনের সময় সে স্ট্রোক করে মারা যায়।
এ ঘটনার পর পরই তার পাঁচ বউ পালানোর চেষ্টা করে তবে পুলিশ দুই জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অর্ধনগ্ন প্রিয়াংকা

এবার প্রিয়াংকা চোপড়াকে দেখা যাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায়। তবে কোন সিনেমায় নয়, বিলবোর্ডে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বড় বড় ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে প্রিয়াংকা নিয়মিত কাজ করে আসছেন। প্রিয়াংকা তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন। বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে তার একাধিক বিজ্ঞাপনের প্রচার চলছে।
প্রথমবারের মত প্রিয়াংকা অন্তরবাস সামগ্রীর ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে একথা প্রিয়াংকা নিজেই জানিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি অংশ নিয়েছেন এই আন্তর্জাতিক অন্তরবাস সামগ্রীর ফটোসেশনে। বিভিন্ন অন্তরবাস পরে খোলামেলা হয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে হাজির হয়েছিলেন।
258d34f72594749429d59aeccd31e937
এই অন্তরবাস ব্র্যান্ডটির লঞ্চিংয়ের দিন থেকে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বিলবোর্ডে প্রিয়াংকার এই খোলামেলা ছবিগুলো ঠাঁই পাবে। দর্শক তাকে দেখতে পাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায়।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াংকা জানান, আন্তর্জাতিক মানের এই অন্তরবাস ব্র্যান্ডটির মডেল হতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। এদিকে জানা গেছে, এ ব্র্যান্ডটির লঞ্চিংয়ের দিন একটি নাইটি পরে মঞ্চে ক্যাটওয়াক করবেন প্রিয়াংকা চোপড়া ।