Friday 29 March 2013

পুরুষের যৌনবিষয়ক নানা প্রশ্ন মনে আসে, সেসবের কিছু প্রশ্ন ও

প্রশ্নঃ কি করে প্রথম হস্তমৈথুন বিষয়ে ধারণা পায়?
উত্তরঃ শিশু বয়সে লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। তখন সে দেখতে পায় নাড়াচাড়া করলে লিঙ্গ শক্ত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে নাড়াচাড়া করার সময় হঠাৎ বীর্যপাত হয়। এটা বিস্ময়ের জন্ম দেয়। বীর্যপাতে সুখানুভূতি হয়। পরবর্তীতে হঠাৎ পাওয়া জিনিসটাকে সে নিজের ইচ্ছাধীন করে ফেলে এবং ইচ্ছামতো বীর্যপাত ঘটায়।
প্রশ্নঃ আমি যখন হস্তমৈথুন করি তখন বীর্য গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়। ৪-৫ ফোঁটা বের হয়। এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ এভাবে বীর্যপাত অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে যদি মনে হয় লিঙ্গে কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো ভালো। বীর্যের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়, সাধারণত এটা ১ চা চামচের মতো। তবে কারো কারো এর বেশি বা কম থাকতে পারে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের গোড়ার চুল শেভ করে ফেলে দিলে আবার গজাতে কতদিন লাগে? আমি লক্ষ্য করছি হস্তমৈথুন শুরু করার পর থেকে আমার লিঙ্গের গোড়ায় চুল কমে যাচ্ছে।
উত্তরঃ চুল আবার গজাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। হস্তমৈথুন করলে ওই চুল পড়ে যায় না। একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। অন্য কোনো রোগের কারণে চুল পড়ে যাচ্ছে কি না তিনি নির্ণয় করতে সাহায্য করবেন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২২ বছর। আমি যৌনসঙ্গম করিনি এর আগে। তবে বর্তমানে সঙ্গম করার পর আমার লিঙ্গ খুব ছোট হয়ে যায়। লিঙ্গ বড় ও দীর্ঘ করার জন্য কোনো রকম ব্যায়াম আছে কি না। আমি কোনো ওষুধ বা পিল ব্যবহার করতে চাই না।
উত্তরঃ ভয় পাবেন না। এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য কোনো ওষুধ, পিল বা ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ কতটা চওড়া হওয়া উচিত?
উত্তরঃ এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কোনো গবেষণা হয়নি। ফলে লিঙ্গের পরিধি কতটা হলে স্বাভাবিক তা বলা হয়নি কোথাও। যেহেতু লিঙ্গের পরিধির মাপ সঠিক হয় না এবং লিঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এর মাপ বিভিন্ন রকম তাই এ নিয়ে যা কিছু বলা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি করা হয়নি। লিঙ্গ যখন শক্ত হয় তখন লিঙ্গ মুণ্ডের চামড়া আমি টেনে পেছনে আনতে পারি না, এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ চিন্তা করার মতো কিছু নয়। চামড়াটা ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে টানতে টানতে একসময় পুরোপুরি পেছনে চলে আসবে। তবে খুব জোরাজুরি করলে রক্ত পড়বে এবং ব্যথা করবে। সুতরাং জোরাজুরি না করাই ভালো। তবে Phimosis নামে একটা অসুখ আছে যে ক্ষেত্রে ওই চামড়া পেছনে আসে না। তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
প্রশ্নঃ যখনই আমি রোমান্টিক অনুভূতি পাই তখনই আমার লিঙ্গ শক্ত হয়। আমি যৌনসঙ্গম করিনি এখনো, তাহলে এর অর্থ কি?
উত্তরঃ কোনো রোমান্টিক কিছু চিন্তা করলে লিঙ্গ শক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ হলে এটাই স্বাভাবিকভাবে হয়।
প্রশ্নঃ মানুষের সামনে হস্তমৈথুন করলে আমি চরম উত্তেজনা অনুভব করি। আমার মধ্যে পরপর ওই স্বভাবটা খুব বেড়ে যাচ্ছে। আমার কেন এরকম হচ্ছে। আমি কোনো সমস্যায় ভুগছি?
উত্তরঃ Exibitionism নামে একটা অসুখ আছে যে অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তি তার নিজের গোপন অঙ্গ অন্য মানুষকে দেখানোর মধ্যে তীব্র আনন্দ খুঁজে পায়। এটি Paraphilia নামেও অভিহিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমি পুরুষ সমকামী। কিন্তু আমি স্বাভাবিক হতে চাই, কিভাবে হতে পারি?
উত্তরঃ মনের বর্ধন অভিজ্ঞতা, অপরের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে যৌন স্বভাব গড়ে ওঠে। কার যৌন স্বভাব কী হবে তা ঠিক তাই বলা যায় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমি আমার বুকে নিয়ে যৌন কল্পনা করি। এটার মানে কি আমি সমকামী?
উত্তরঃ সবসময় তা নয়। চিন্তা করলেই সমকামী হয় না।
প্রশ্নঃ ‘ডুশ ব্যাগ’ কি জিনিস?
উত্তরঃ যোনিপথের ময়লা পরিষকারের সময় ডুশ দেয়ার পর যে ময়লা পদার্থ বের হয় তা সংগ্রহ করার জন্য যে ব্যাগ রাখা হয় তাকে ডুশ ব্যাগ বলে। তবে অল্পবয়স্ক ছেলেরা একে অন্যকে গালি দেয়ার জন্য শব্দটা ব্যবহার করে থাকে।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার বাবী যখন ওপরে থাকে তখন তার যোনি থেকে আধা কাপ থেকে এক কাপ পরিমাণ রসক্ষরণ হয়। এটার মানে কি সে খুব উপভোগ করছে? নাকি বীর্যপাত?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যৌনসঙ্গমের সময় রসক্ষরণ হয় বা ইজাকুলেশন হয়।
প্রশ্নঃ একটা মেয়ে ‘WET’ বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তরঃ যৌন উত্তেজনা হলে মেয়েদের যোনিপথে রসক্ষরণ হয়। এটা সঙ্গমকে সহজতর করে- যোনিপথ পিচ্ছিল করে।
পুরুষ শরীর ও লিঙ্গবিষয়ক প্রশ্ন
প্রশ্নঃ আমি গত ৩ সপ্তাহে হস্তমৈথুন করিনি। আমি যখন বাবীর সাথে সঙ্গম করি তখন প্রচুর পরিমাণে বীর্য বের হয় এবং আমার খুব ভালো লাগে। দীর্ঘদিন বীর্যপাত না হলে কি এমন হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে নির্দিষ্ট সময় পরে অতিরিক্ত বীর্য শরীরের ভেতরেই নিষিক্রয় ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এটাই স্বাভাবিক শারীরিক ঘটনা।
প্রশ্নঃ আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে হস্তমৈথুন করিনি। আমরা কাল বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করব। কোন ভঙ্গিতে যৌনসঙ্গম করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বীর্য ধরে রেখে পরে সঙ্গম করলে কি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে?
উত্তরঃ পূর্ণ মাত্রায় বীর্য তৈরি হতে ২৪-৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কোনো ভঙ্গিতে সঙ্গম করলেই হয়। তবে যদি গর্ভবতী না হন এবং বারে বারে এরকমই হতে থাকে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২১ বছর। সপ্তাহে ১ বার আমি হস্তমৈথুন করি। আমার ডান দিকের অণ্ডকোষ বেশি নিচে ঝুলে পড়ে ও বেশ বড়। এটা কি স্বাভাবিক?
উত্তরঃ অণ্ডকোষ দুটোর একটি বড় হয়। একটি অণ্ডকোষ অন্যটি থেকে নিচের দিকে থাকে। এটা স্বাভাবিক।
প্রশ্নঃ আমার সারা শরীরে লোমে ঢাকা। আমার বুদের মধ্যে এমন কারো নেই। এটা কি কোনো সমস্যা?
উত্তরঃ কার শরীরে কতটা লোম হবে তা বংশগত। লোম বেশি হলে যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে লোম তুলে ফেলার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
প্রশ্নঃ আমার এক পরিচিত ব্যক্তির Vas deferens (শুক্রনালী) নামের নলটি নেই, রোগটি ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই।
উত্তরঃ Vas deferens বা শুক্রনালী থাকে না রোগটা একেবারেই দেখা যায় না- তবে হতে পারে। কারো কারো হাত হয় না, পা হয় না বা কিডনি ত্রুটিযুক্ত হয়, এ ব্যাপারটাও সেরকমই।
প্রশ্নঃ ঠাণ্ডা পানির সপর্শে লিঙ্গ কি শক্ত হতে পারে?
উত্তরঃ ধরাবাঁধা তেমন কোনো নিয়ম নেই। তবে লিঙ্গ শক্ত হতে পারে এমন কোনো চিন্তা সপর্শ ঘটলেই লিঙ্গ শক্ত হয়।
প্রশ্নঃ স্বপ্নদোষ কি আমার জানা নেই। আমার বয়স ৩২। এটা কেমন জানতে ইচ্ছে করে।
উত্তরঃ সাধারণত এ বয়সে পৌঁছানোর আগেই স্বপ্নদোষ শুরু হয়। আপনার হয়তো স্বপ্নদোষ হয়েছে, আপনি বুঝতে পারেননি। বীর্যপাত হয়তো হয়েছে কিন্তু বোঝেননি, কাপড়ে শুকিয়ে গেছে। সাধারণত এর জন্য কাপড়ে দাগ হতেও পারে, নাও হতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার একটি অণ্ডকোষ সঠিকভাবে নিচে নামেনি, কী করা উচিত? আমার বীর্যপাত হচ্ছে।
উত্তরঃ এ বিষয়ে শল্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ঘটনাটা স্বাভাবিক নয়। এটিকে উপেক্ষা করা ঠিক না।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ মুণ্ডের ওপরে খয়েরি রঙের একটা ছাপ আছে। এটা অনেকদিন থেকে আছে। জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করে না। এটা কি জন্ম দাগ হতে পারে।
উত্তরঃ হ্যাঁ। জন্ম দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
প্রশ্নঃ প্রস্টেট মালিশ ‘Prostatate massage’ এর গুরুত্ব কি? কতবার কিভাবে এটা করা উচিত।
উত্তরঃ এটা করতেই হবে এমন কোনো বিষয় নয়। অনেকে যৌনসঙ্গমের সময় এটা করে থাকে। এর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কোনো কোনো অসুখে এটা করা হয় যেমন- ক্যান্সার বা বড় প্রস্টেটের ক্ষেত্রে। ডাক্তাররা এটা করে থাকেন। খুব অল্প সময় লাগে এতে।
প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি হয়নি। লিঙ্গের চামড়া পেছনে পুরোপুরি টানলে গোড়ার দিকে সাদা সাদা জমাট বাঁধা দলা দেখতে পাই। ধোয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তবুও ওগুলো সরে না। কী করব? আমি হস্তমৈথুন করি।
উত্তরঃ চামড়ার নিচে সাদা সাদা জিনিস স্বাভাবিকভাবে জমে, একে Smegma বলে। হস্তমৈথুন করলে এটা হয় না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ আছে কিন্তু অণ্ডকোষ নেই। কী করা উচিত?
উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।
প্রশ্নঃ আমার বয়স সাড়ে পনেরো বছর। আমার বগলে চুল গজায়নি, লিঙ্গের গোড়ায় চুল গজায়নি। আমার অণ্ডকোষ নেমে আসেনি। এ অবস্থায় কোনো মেয়ের সাথে সঙ্গম করলে কি সমস্যা হবে? আমার কী করা উচিত।
উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ শক্ত হলে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আমার মুখের দিকে। অনেক চেষ্টা করেছি নিচে নামানোর- নামে না। অনেকে বলে এরকম হলে সঙ্গম সম্ভব হয় না। আমার কি অপারেশন দরকার?
উত্তরঃ না। শক্ত হলে লিঙ্গ কখনো ঊর্ধ্বমুখী হয়, কখনো আনুভূমিক (Horizontal) হয়। কখনো নিম্নমুখী হয়। কখনো ডানে বা বামে বেঁকে যায়। এসবই স্বাভাবিক অবস্থায়। কোনো রোগ নয় এবং এতে সঙ্গমে কোনো সমস্যা হয় না। লিঙ্গের অবস্থান ও আকার অনুযায়ী সঙ্গমের পজিশন ঠিক করে নিতে হয়।
প্রশ্নঃ আমার ডান অণ্ডকোষ বামটি থেকে দ্বিগুণ বড়। এটা ছোট করা যায় কিনা।
উত্তরঃ সত্যি সত্যিই দ্বিগুণ বড় হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।
প্রশ্নঃ আমার প্রস্টেটাইটিস রোগ ধরা পড়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও আইবুপ্রফেন দিয়ে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু লক্ষ্য করছি আমার বীর্য খুব আঠালো এবং দ্রুত স্খলন হয়ে যাচ্ছে। এটা কি শারীরিক না মানসিক সমস্যা?
উত্তরঃ ডাক্তার আপনাকে সাহায্য করতে পারেন এ ক্ষেত্রে। প্রস্টেট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে কি অণ্ডকোষ ঝুলে পড়ে?
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ দ্রুত স্খলন কি মানসিক সমস্যা না শারীরিক সমস্যা।
উত্তরঃ দুটোই হতে পারে। মানসিক চিকিৎসায় সমাধান না হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে দেখা যেতে পারে।
প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সঙ্গমের সময় আমি বীর্যপাতের সুখ অনুভব করি কিন্তু বীর্যপাত হয় না। প্রায় সবসময়ই হয় না, তবে এখন খুব ঘন ঘন হচ্ছে।
উত্তরঃ যদি বারেবারে এমন হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে কেউ কেউ ইচ্ছা করে লিঙ্গ মুণ্ড বা লিঙ্গের নিচের মূত্রনালী চেপে ধরে রাখে যাতে বীর্য না বেরিয়ে আসে।
প্রশ্নঃ বারে বারে অত্যধিক হস্তমৈথুন করার পর আমার অণ্ডকোষ ঝুলে পড়েছে এবং ওইভাবেই ঝুলে আছে। ঘটনাটা কি?
উত্তরঃ অণ্ডকোষ ঝুলেই থাকে কখনো কখনো খুব বেশি। এটা স্বাভাবিক। যত বয়স বাড়ে ততই তা ঝুলে পড়ে। অল্প বয়সে অণ্ডকোষ উপরে থাকে, খুব কম ঝোলে।
প্রশ্নঃ একবার বীর্যপাতের কতক্ষণ পর লিঙ্গ আবার শক্ত হয় ও সঙ্গমের জন্য তৈরি হয়?
উত্তরঃ যত বার বীর্যপাত হয় তার প্রতিবারেই লিঙ্গ শক্ত হওয়ার সময়টা বাড়তে থাকে। তবে ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট লাগে আবার শক্ত হতে। কারো কারো ২৪ গণ্টা লাগে।
প্রশ্নঃ আমার স্বামীর বয়স ২৭। ২ বছর ধরে চেষ্টা করছি গর্ভবতী হওয়ার জন্য কিন্তু পারিনি। তার কি শুক্রাণু সমস্যা আছে?
উত্তরঃ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শুক্রাণুর সংখ্যা ঠিক আছে না আপনার সমস্যা আছে এটা জানা যাবে।
প্রশ্নঃ ‘Viagra’ কি?
উত্তরঃ ভায়াগ্রা একটা ওষুধ। যে লিঙ্গ শক্ত হয় না ভায়াগ্রা দিয়ে তা শক্ত করা হয়। এটাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। পূর্ণ তৃপ্তিদায়ক সঙ্গম করতে লিঙ্গ যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত থাকার প্রয়োজন হয়- যদি তা না হয় তাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে।
প্রশ্নঃ ‘Levitra’ কি?
উত্তরঃ এটিও ভায়াগ্রার মতো অন্য একটা ওষুধ। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষ, নিহত ৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের হামলার মুখে পড়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার ভোর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার গোপালনগরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হতাহতের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট।
নিহতরা হলেন- ওমরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ওয়ালিউল্লাহ (১৮), গোপালনগর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান মতি (৪৫) এবং বাবুপুর গ্রামের মোহাম্মদ বদুর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫)।
এদের মধ্যে ওয়ালিউল্লাহ ও রবিউল ঘটনাস্থলে এবং মতিউর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহা পরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমরা আসামি ধরতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর হামলা হলে ১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। জানমাল রক্ষায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।”
সংঘর্ষের সময় তিনজন নিহত হওয়ার ‘খবর শুনলেও’ পুলিশ কোনো লাশ বা অভিযোগ পায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।  
তিনি বলেন, র‌্যাব ও বিজিবিও পুলিশকে এই অভিযানে সহযোগিতা করে। এ সময় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শরৎনগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও নিহত ওয়ালিউল্লাহর চাচা আব্দুল মালেক (৫০) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এলাকায় পুলিশ আসে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশের গুলিতে তার ভাতিজাসহ তিন জন নিহত হয় বলে আব্দুল মালেক জানান।
তিনি বলেন, “ওয়ালিউল্লাহ শরৎনগর মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জেলা প্রতিনিধি জানান, নিহত তিন জনের লাশ গোপালনগর, বাবুপুর ও ওমরপুর গ্রামে তাদের বাড়িতেই রাখা হয়েছে।
সংঘর্ষে আরো অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের মামলার আসামি ধরতে রাত ৩টার দিকে শ্যামপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে যায় পুলিশ। বিষয়টি টের পেয়ে জামায়াত-শিবিরের লোকজন পটকা ফুটিয়ে গ্রামে পুলিশ আসার খবর জানান দেয়।
পটকার শব্দ শুনে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন গোপালনগরে জড়ো হয়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে। এলাকার একটি বড় অংশে আমবাগান থাকায় লোকজন সেখান থেকেই পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি যায়। ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে গোপালনগর গ্রামের লোকজন সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি গোপালনগরেই অবস্থান করছেন। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর জামায়াত-শিবিরকর্মীরা সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ–সোনা মসজিদ সড়কের কয়েকটি স্থানে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ তৈরি করে এবং যান চলাচলে বাধা দেয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম ডালিম।
হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট।

Wednesday 27 March 2013

পুরুষের স্বাস্থ্য: ১০টি স্বাস্থ্যঝুঁকি

পুরুষের স্বাস্থ্যের যে বড় ঝুঁকি রয়েছে, এগুলোর সবই প্রতিরোধ করা যায়। দীর্ঘ, সুস্থ জীবনের জন্য জানা চাই:মাত্র ১০টি স্বাস্থ্যঝুঁকি সামলালেই হলো। বিখ্যাত সংস্থা সিডিসি এবং আরও কয়েকটি স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান থেকে জানা গেল।
১. হূদরোগ
পুরুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রধান ঝুঁকি তো বটেই। আর স্বাস্থ্যকর জীবন পছন্দ মানলে হূদস্বাস্থ্য ভালো থাকবে অবশ্যই।
 ধূমপান করা যাবে না। তামাক, জর্দা, গুল চিবানো চলবে না। কেউ ধূমপান যদি করে, তার পাশে থাকা যাবে না। বারণ করতে ব্যর্থ হলে দূরে সরে যেতে হবে।  স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি, টাটকা ফল, গোটা শস্যদানা, আঁশ ও মাছ। যেসব খাবারে চর্বি বেশি, নুন বেশি সেসব খাবার বর্জন করা ভালো।  রক্তে যদি থাকে উঁচুমান কোলেস্টেরল, থাকে যদি উচ্চরক্তচাপ তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে হবে।  প্রতিদিন জীবনযাপনের অংশ হবে শরীরচর্চা।  স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে।
 মদ্যপান করে থাকলে বর্জন করতে হবে। ডায়াবেটিস যদি থাকে, তাহলে রক্তের সুগার মান বজায় রাখতে হবে।
 মানসিক চাপকে মোকাবিলা করতে হবে।
২. ক্যানসার
পুরুষের মধ্যে ক্যানসারের কারণে যাদের মৃত্যু হয়, শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির অভিমত: এর কারণ হলো ধূমপান। এরপর রয়েছে প্রোস্টেট ক্যানসার ও কোলেস্টেরল ক্যানসার।
ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে—
 ধূমপান করা যাবে না। তামাকপাতা, জর্দা, গুল চিবানো যাবে না।
 পাশে কেউ ধূমপান করলে দূরে সরে যেতে হবে।  দৈনন্দিন জীবনে শরীরচর্চা থাকতেই হবে।
 স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে।  ফল ও শাকসবজিসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর আহার। এড়িয়ে যেতে হবে চর্বিবহুল খাবার।  কড়া রোদে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ছাতা ও মাথাল ব্যবহার, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।  মদ্যপান বর্জন করতে হবে।  নিয়মিত ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাহায্য নিতে হবে।
 ক্যানসার জনক বস্তু অর্থাৎ কার্সিনোজেন যেমন, রেড়ন, এসবেসটস বিকিরণ ও বায়ুদূষণের মুখোমুখি যাতে না হতে হয়, সে রকম ব্যবস্থা করা।
৩. আঘাত
সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল সিডিসির মত অনুযায়ী পুরুষের মধ্যে মারাত্মক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো, মোটরগাড়ি দুর্ঘটনা। ভয়ানক দুর্ঘটনা এড়াতে হলে—
 গাড়িতে সিটবেল্ট পরতে হবে।  গাড়ি চালানোর সময় গতিসীমা মেনে চলা উচিত।  মদ বা অন্য কোনো নেশা করে গাড়ি চালানো উচিত নয়।  ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানো ঠিক নয়।
মারাত্মক দুর্ঘটনার অন্যান্য বড় কারণ হলো, পতন, পিছলে পড়ে যাওয়া, বিষক্রিয়া। বায়ু চলাচল হয় এমন স্থানে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত, স্নানঘরে পিছলে যায় না এমন ম্যাট ব্যবহার করা উচিত।
৪. স্ট্রোক
স্ট্রোকের কিছু ঝুঁক আছে, যা পরিবর্তন করা যায় না যেমন, পারিবারিক ইতিহাস, বয়স ও গোত্র। তবে আরও কিছু ঝুঁকি আছে যেগুলো বেশ বদলানো যায়।
 ধূমপান করা ঠিক নয়।  রক্তচাপ বেশি হলে বা রক্তে কোলেস্টেরল মান বেশি থাকলে চিকিৎসকের চিকিৎসা ও পরামর্শ মেনে চলা উচিত।  খাবারে যদদূর সম্ভব স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকা ভালো। ট্রান্সফ্যাট একেবারে বাদ দিলেই মঙ্গল।  স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত।  প্রতিদিনের দিন যাপনে ব্যায়াম অবশ্যই থাকা উচিত।  ডায়াবেটিস যদি থাকে, তাহলে রক্তের সুগার যেন থাকে নিয়ন্ত্রণে।  মদ্যপান করে থাকলে বর্জন করা উচিত।
৫. সিওপিডি
শ্বাসযন্ত্রের ক্রনিক রোগ যেমন ব্রংকাইটস এবং এমফাইসেমা-এদের বলে সিওপিডি। পুরো মনে করলে দাঁড়ায় কুনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। এ রোগ ঠেকাতে হলে—
 ধূমপান কখনই নয়। কেউ ধূমপান করলে পাশে, সে ধোঁয়াও গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।  রাসায়নিক বস্তু এবং বায়ু দূষণের মুখোমুখি যত কম হওয়া যায়, ততই মঙ্গল।
৬. টাইপ ২ ডায়াবেটিস
সবচেয়ে সচরাচর ডায়াবেটিস টাইপ ২ ডায়াবেটিস রক্তে বেড়ে যায় সুগার।
একে নিয়ন্ত্রণ না করলে হয় নানা রকমের জটিলতা, হূদরোগ, অন্ধত্ব, স্নায়ু রোগ, কিডনির রোগ।
একে প্রতিরোধ করতে হলে—
 শরীরে বেশি ওজন থাকলে বাড়তি ওজন ঝরাতে হবে।
 ফল, শাকসবজি ও কম চর্বি খাবারে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।  দৈনন্দিন জীবনযাপনে থাকবে অবশ্যই ব্যায়াম।
৭. ফ্লু
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো সচরাচর একটি ভাইরাস সংক্রমণ। সুস্থ শরীরের মানুষের জন্য ফ্লু এত গুরুতর নয় বটে, তবে ফ্লুর জটিলতা মারাত্মক হতে পারে, বিশেষ করে যাদের দেহ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা যাদের ক্রনিক রোগ রয়েছে।
ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে হলে বছরে একবার ফ্লুর টিকা নিতে হবে।
৮. আত্মহত্যার মতো দুর্ঘটনা
পুরুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বড় একটি হলো আত্মহত্যা। অনেক দেশে, সমাজে পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার কারণ হলো বিষণ্ন্নতা। মন বিষণ্ন মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। চিকিৎসা তো রয়েছেই। নিজের সর্বনাশ করা কেন? যতই প্রতিকূল অবস্থাই হোক, যত বিপদই হোক, একে অতিক্রম করাই তো মানুষের কাজ।
৯. কিডনির রোগ
ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের প্রথম জটিলতা হলো কিডনি বিকল হওয়া। ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে চিকিৎসকের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে হবে।
 স্বাস্থ্যকর আহার। নুন কম খেতে হবে।
 প্রতিদিন ব্যায়াম
 ওজন বেশি থাকলে ওজন ঝরানো।
 ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ।
১০. আলঝাইমারস রোগ
এই রোগ প্রতিরোধ করার কোনো প্রমাণিত উপায় নেই। তবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া যায়—
 হূদযন্ত্রের যত্ন নেওয়া ভালো। উচ্চরক্তচাপ থাকলে হূদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস উঁচুমান কোলেস্টেরল থাকলে আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।  মাথায় যাতে আঘাত না লাগে, দেখা উচিত। মাথায় আঘাত লাগার সঙ্গে ভবিষ্যতে আলঝাইমার রোগ হওয়ার একটি সম্পর্ক আছে, বলেন অনেকে।  স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত।
 প্রতিদিন ব্যায়াম।  ধূমপান বর্জন।  মদ্যপান বর্জন।
 সামাজিক মেলামেশা চালিয়ে যান।
 মানসিক ফিটনেস বজায় রাখতে হবে। মগজ খেলানোর জন্য চর্চা, ব্যায়াম। নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করা।
শেষ কথা
স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
ঝুঁকিগুলোকে মনে হবে ভয়ের কিছু, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যা কিছু দরকার করা উচিত।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, দৈহিকভাবে সক্রিয় থাকা, ধূমপান করে থাকলে ছেড়ে দেওয়া, নিয়মিত চেকআপ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরায় সতর্ক থাকা, সবই করা ভালো। প্রতিরোধমূলক এসব কাজকর্ম চালিয়ে গেলে দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল
সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

জিপিএসের মাধ্যমে তৈরি হয় অবস্থানের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে গবেষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সিএনএন জানিয়েছে, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে দিন বা সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়, যা থেকে তাদের অবস্থানের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বানানো সম্ভব।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সময়ে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানতে জিপিএস উপাত্ত নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের আওতায় অবস্থান করে। এতে টাওয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তাদের অবস্থান সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য জানা যায়, যেটা আগেকার যে কোন ট্র্যাকিং পদ্ধতির চেয়ে অনেক সহজ।
১৫ মাস ধরে চলা এ গবেষণায় ১৫ লাখ অপরিচিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অবস্থান ট্র্যাকিং করা হয়। এতে মোবাইল ফোন টাওয়ারের মাধ্যমে ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। এছাড়া প্রতিজন মানুষের আচরণ আলাদা ও সবাই একটা সাপ্তাহিক অভ্যাস মেনে চলায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্যের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ জানা যায়। সপ্তাহে পাঁচদিন অফিস, একদিন প্রার্থনা করতে উপাসনালয়ে, বিকেলে কফি হাউস এভাবে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কিভাবে দিন কিংবা সপ্তাহের সময় ব্যয় করেন সে তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়।

Tuesday 26 March 2013

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি

বয়স হয়ে গেলো, বসন্ত একের পর টা টা দিচ্ছে, অথচ অনেক এখন আবিয়াইত্যা। আমি পোলাপাইনদের কথা বলছি। যারা বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে বসে আছে, বিয়ের পর কি কি করবে তার উষ্ণ পরিকল্পনাও করে রেখেছে। গল্প-উপন্যাস-মুভি-নাটক পড়ে/দেখে বা বন্ধুদের কথা শুনে কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে, অথচ ফানুস কিন্তু হঠাৎই ফুসস্ হয়ে যাবে, যদি কল্পনাটা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা না হয়।যেহেতু অনেকেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নাই দৈহিক সম্পর্ক বা বিবাহ পরিবর্তী প্রাথমিক কার্যকলাপের তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পোলাপাইনরা নানা রকম ভুল ধারনা নিয়ে বসে থাকে। তার সাথে পর্নোছবি-বই (চটি) আর অনেকের বাড়িয়ে বলা অভিজ্ঞতায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। কেউবা একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে চিন্তা ভেবে বসে থাকে, আর বিয়ের পর তার এদিক ওদিক হলে টেনশনে পরে। কেউ বা হীনমন্যতায় ভুগে বিয়ের দিকেই যেতে চায় না। দ্বিতীয় শ্রেনীর অবস্থা আরো কাহিল করে রাস্তায় বিলানো মঘা-ইউনানীর লিফলেটগুলো।এটা একটা ইন্ট্রো। বিস্তারিত পরের পর্ব গুলোতে আসবে। বিষয় গুলো আসবে বিয়ে ঠিক হবার পর কি কি করনীয় তার ভিত্তিতে।আবিয়াইত্যাদের জন্য বিবাহিত ভাইদের একটা উপহার সরুপ। তাই বিবাহিত ভাইদের মন খুলে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শমুলক কমেন্টের আহবান জানানো হচ্ছে। এদের ভয় না দেখিয়ে কিভাবে বিয়ের জন্য ভালোভাবে তৈরি করে দেয়া যায় সেই প্রচেষ্টা থাকা উচিত।
বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আংটি পড়ানো শেষ। এবার বিয়ের তোরজোর চলছে। গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হবে, এরপর মোহরানা, কমিন্যুটি সেন্টার, ক’জন অতিথী, গেটে কত দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওসব মুলতঃ অভিভাবকরাই করবেন। পাত্র হিসেবে আপনার কাজ কি?
করনীয় ১:
মোবাইল নম্বর এতদিনে অবশ্যই আদান-প্রদান হয়েছে! এটা খুবই জরুরী। বিয়ের আগে অনেক কিছুই ফিক্স করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। মানসিক-শারীরিক অনেক বিষয় আলোচনায় আসবে যা বিয়ে পরবর্তী জীবনের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।অপশনালঃ বিয়ের ডেট ঠিক করা নিয়ে একটু বলি। অনেকেই বিয়ের রাতে আবিস্কার করে যে তার নববধুর পিরিয়ড চলছে। সো এতদিনের “প্রথম রাইতে বিলাই মারা”র প্ল্যান কুপোকাত। এটা যদিও খুব জরুরি কোন বিষয় না, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ৩-৪ দিনের মধ্যে। তারপর প্ল্যানমাফিক…তবে মেয়ে বা আত্মীয়াদের মধ্যে কারও সাথে যদি ফ্রি থাকেন তবে একটা ট্রাই করা যেতে পারে। যেমনঃ আপনার ভাবী আছে, তাকে বলুন যেনো বিয়ের সময় মেয়ের কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। ভাবীরা এই লাইনে “আকেলমন্দ”, তাই ইশারা বুঝে ঠিকই হবুবধুকে পরবর্তি পিরিয়ডের ডেট জিজ্ঞেস করে সেভাবে বিয়ের ডেট ফিক্সে ভুমিকা রাখতে পারেন। তারপরেও অনেক সময় বিয়ের টেনশনে অনেক সময় মেয়েদের অসময়ে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। তাই আবারও বলছি এটা বড় কোন ইস্যু না।
করনীয় ২:
হবু বধুর সাথে ফ্রী হয়ে নিন। টেলিফোনে আলাপ যেহেতু শুরু হয়ে গেছে। এইবার তার সাথে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করুন। তবে রয়ে-সয়ে। সরাসরি প্রথম ১/২ দিনেই শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কিভাবে শুরু করবেন নিজেই চিন্তা করুন। মনে রাখবেন এই আধুনিক যুগে মেয়েরা কিন্তু সবই জানে। জানার সোর্স আপনার মতই। এটাকে নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই। বরং পজেটিভলি দেখুন, ভাবুন তার এই জানা আপনার কাজকে সহজ করে দেবে। তবে মেয়েরা জানলেও প্রকাশ করবে না, কারন তার মনে ভয় কাজ করবে যে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। তাই প্রথম স্টেপ আপনি নিন। জানা বিষয় আলাপ শুরু করুন, তবে তত্ত্বীয় বিষয় গুলো।
করনীয় ৩:
শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা সালসা খাওয়ার কথা বলবো না। স্রেফ মধু খান ডেইলি এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরো ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দিয়েন না। বাসর রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর পানি খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে। পরর্বতী পর্বে আলাপ হবে সরাসরি বাসর রাতের প্রস্তুতি নিয়ে। কি কি কিনতে হবে আর সাথে রাখতে হবে।এই পোষ্টের বিষয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে করার আহবান জানাচ্ছি। এবং এই লাইনের গাযীদের মতামত আশা করছি।
করনীয় ৪:
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন। ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। ভালো মানের একটা লুব্রিকেন্টের নাম বলি। জনসন এন্ড জনসনের “KY Gelly”। বড় ফার্মসীগুলোতে পাবেন, KY Gelly বল্লেই দিবে। আর এক টিউব দিয়ে দশ-বারোজন বন্ধুর সংসার শুরু হয়ে যাবে। কারন একজনের বেশি লাগে না। এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র’ অবস্থায় ইউজ করবেন না। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারনত নিরুৎসাহিত করা হয়।কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন:আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অংগ প্রবেশ করবে না। এর সাথে আছে হাইমেন বা বা সতিচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্ট ঠিক করুন “প্রবেশ করাতে হবে”।এই সরু পথে জোর করেই প্রবেশ করতে হবে, জোর করা মানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সাথে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন, একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করা যাবে তাড়াতাড়ি।কিছু ভুল ধারনাঃপ্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারিত্বের পরীক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারনা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতিচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর। সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারনা করে বসে থাকবেন না।দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারনা হলো রক্তপাত না হলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারনা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না। ইভেন অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ও কোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বের করতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামী। আমাদের মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। মুভির নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারন বুক টানটান রাখতে শোবিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করেপঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনে অভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। মঘা-ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার “আগা মোটা গোড়া চিকন”,তাই তাকে দিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মম রসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যান বিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা? সবাই অনাঘ্রাতা বউই চাই আমরা। আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবো নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেয়া উচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহের পোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নো টেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই।
করনীয় ৫:
আত্মবিশ্বাসী হোন, অযথা ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন না। টিন-এজে স্বমেহনের কারনে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগে, মনে শংকা তৈরি হয় শারীরিক ভালোবাসায় পারংগমতা দেখাতে পারবে কিনা। অনেকে দৌড়ায় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না তা নয়। তবে যদি নিজের দৈহিক সুস্থতা থাকে আর পুরুষাংগের প্রাত্যহিক উত্থান (সকালে, যাকে “মর্নিং গ্লোরী” বলা হয়।) হয় তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার রিস্ক হচ্ছে অনেকে এই সুযোগে টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় আপনার উল্টো ক্ষতি করে দিতে পারে। অনেকে আবার মঘা-ইউনানীর মত ফ্রডের কাছে যান, ওখানে গেলে নাকি লাইফ হেল করে দেয়।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমলে আনা হয় না, সেটা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারনে, এবং পুরুষরা এটাতে আক্রান্ত হয় টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে। পুরুষদের সবাইকে কম-বেশি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনি’র হল-অফিসের টয়লেটকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ট্রিট করুন এখানে। এসব টয়লেট নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে। এবং অনেক টয়লেটেই পানির সুব্যবস্থা থাকে না। এদের মধ্যে কারও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তবে সে টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো ভাবে পানি না দিয়ে গেলে, বা নতুন ব্যবহারকারী পানি দিয়ে ফ্লাশ না করে ব্যবহার করলে প্যানে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে। এভবেই পানি ইউজ না করলে ইনফেকশন হয়। এটা একটা “যৌনবাহিত রোড (STD)”, এবং স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীরা এটা পেয়ে থাকে। তাই যদি আপনি প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা পেইন অনুভব করেন তবে বিয়ের আগেই একবার টেষ্ট করুন, থাকলে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আক্রান্ত হলে প্রেগন্যান্সির সময় এটা এক্সট্রা টেনশন এড করবে। হাই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।
করনীয় ৬:
যৌনমিলনের সেফ পিরিয়ডঃ নিজে জানুন, হবু বধুকে জানান। সেফ পিরিয়ড মানে যে সময় কোন প্রতিরোধক (কনডম বা এ জাতীয়) ছাড়াই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, এক্সিডেন্টালী প্রেগন্যান্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এটা অনেকেই জানেন, আবার একটু রিভাইস করে নেই।মেয়েদের মেন্স বা পিরিয়ডের সাথে সেফ পিরিয়ডের সম্পর্ক। ধরলাম কোন মেয়ের পিরিয়ড হয় ৩০ দিন পর পর (কম বেশিও হতে পারে) এবং এই মাসে তার পিরিয়ড শুরু হয়েছিলো ১ তারিখে। তার আগের মাসেও ১ তারিখে। এটাকে এক সাইকেল বলা হয়। নরম্যালি ওভুলেশন হয় সাইকেলের মাঝামাঝি সময়ে, ধরলাম ১৪ দিনে। তাহলে ১৪ তারিখে ওভুলেশন হচ্চে। এই ওভুলেশনের হওয়ার আগের এক সপ্তাহ ও পরের এক সপ্তাহ ফার্টাইল বা উর্বর সময়। এসময়ে প্রোটেকশন না নিলে প্রেগন্যান্ট হবেই। তাহলে মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ প্রটেকশন ছাড়া এগোনো যাবে না। বাকী সময় সেফ, থিওরিটিক্যালী কোন প্রটেকশনের দরকার নেই।এটা ন্যাচারাল পদ্ধতি, তবে সমস্যা হলো পিরিয়ড এর ডেট বিয়ের পর বদল হতে দেখা যায়। এবং অনেকের ক্ষেত্রে সাইকেলটাও স্ট্যাবল থাকে না। তাই সাইকেল স্ট্যাবল না হওয়া পর্যন্ত প্রটেকশন নেয়াই উচিত। যদি দ্রুত বাচ্চা নেয়ার প্ল্যান না থাকে তাহলে প্রটেকশন নিয়েই শুরু করতে হবে। নো হান্কি পান্কি। তবে কখনই প্রথম বাচ্চা হবার আগে আপনার স্ত্রীকে বার্থকন্ট্রোল পিল খাওয়াবেননা। এটা স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করে থাকে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
করনীয় ৭:
জানুন প্রি-ম্যাচ্যর ইজাকুলেশন কি? প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন মানে খুব দ্রুত বা সময়ের আগেই বীর্যপাত। সময়ের আগে মানে পার্টনারের অর্গাজমের আগেই আর দ্রুত সময় মানে ১.৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম যৌনাভিজ্ঞতায় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হয়। প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়?প্রথমেই দুটো কারন আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার প্রথম সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সংগীর সাথে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুব অল্প সময়েই নারী সংগীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত।দ্বিতীয় কারন হিসেবে আসবে “টেনশন”। নতুন বিয়ে বা সম্পর্কে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। তৃতীয় কারন হলো “সংগীনির তৈরি না হওয়া”। প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সংগীনিকে উত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সংগীনিও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টা। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সংগী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত।সমাধানঃঅনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন,অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে “স্যালুট”। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক।টেনশন কিভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সংগীনির সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকেনা, আপনি সুপারম্যান হতে চাচ্ছেন কিনা নিজেই ভাবুন।আর “সংগীনির তৈরি না হওয়ার” দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে কোমল ভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, কিস করে। ব্যাকনেক, কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাংগ-উরু, হাত-পায়ের আংগুল ইত্যাদি স্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেয়ার। এক হাতে তালি বাজে না।
দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সমাধানঃ
১। এর কোন স্বীকৃত ঔষধ নেই। তাই বাজারে প্রচলিত ঔষধ না খাওয়াই ভালো।
২। একটা কার্যকর এক্সারসাইজ আছে। এখন থেকেই নিজের বীর্যপাত ঠেকিয়ে রাখার প্র্যাক্টিস করতে পারেন। আমরা যে ভাবে প্রস্রাব আটকাই, সেভাবে ডেইলি বিভিন্ন সময় একলাগা ১০ বার প্রস্রাব আটকানোর কসরত করুন। যখন সময় পাবেন। প্রস্রাব না ধরলেও করুন।
৩। যখনই চরম মুহুর্ত আসবে মনে হয়, তার আগেই থেমে গিয়ে পুরুষাংগ বের করে নিন, প্রস্রাব আটকানোর মত করে বীর্যপাত আটকান।
৪। বীর্যপাত আটকানোর সাথে সাথে দীর্ঘায়িত করার জন্য অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন, এতে উত্তেজনা ডাইভার্ট হবে কিছুক্ষনের জন্য।
৫। আর একটা পদ্ধতি হলো আগেই একবার বীর্যপাত ঘটানো। এটা নিজে করে নিতে পারেন, অথবা সংগীনি যদি হেল্পফুল হয় তবে সেই হাত দিয়ে সাহায্য করবে। তবে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় না। অনেকেই আগাম দুর্বল হতে চায় না।
৬। কনডমের ব্যবহার কিছুটা হেল্প করে সংবেদনশীলতা কমাতে, তাই উত্তেজনাও কিছুটা কমানো যায়।আর কোনো পদ্ধতি জানা থাকলে বলতে পারেন।
করনীয় ৭:
কনডম সম্বন্ধে জানুন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের কনডম প্রচলিত আছে। সম্ভবত দেশে সবচে বেশি চলে সেনসেশন। এছাড়াও ইউ&মি, প্যান্থার, ল্যাটেক্স, টাইটানিক, ডুরেক্স, রাজাও ব্যবহৃত হয়। সেনসেশন সহ সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ/ফিচারড কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমনঃ ডটেড, এক্সট্রা রিবড, সেন্টেড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, কন্ট্যুরড, লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলো একেকটা একেক সময়ে/পর্যায়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না, সব সময়ের জন্যও না।এক নতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্য আদর্শ। অর্থ্যাৎ জাস্ট প্রটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলো শুরুতে ব্যবহার না করাই ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাস হয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা নরমালী এত ভালো লাগবে না। এই কনডম গুলো সময়ের সাথে সাথে যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।কিভাবে কনডম ব্যবহার করবেনঃএটা খুব কঠিন কিছু না। কনডমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভেতরে কোন বাতাস না থাকে, তাই কনডমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডম ফেটে যেতে পারে, তাতে প্রটেকশনের কাজ আর হলো না।এখানে পাবেন কিভাবে কনডম পড়তে হবে।
করনীয় ৮:
রোমান্টিক হউন, চিন্তা-চেতনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। বিয়েটা শুধু সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে শারীরিক মিলনের অনুমোদন না, মনের মিলনের অনুমোদনও। ভালোবাসার এমন সহজ সুযোগ আর কোন সিস্টেমে নেই। তাই ভালোবাসুন, সুযোগটা কাজে লাগান। শরীরকে শুধু প্রাধান্য না দিয়ে মনের কথাও ভাবুন। একটা মানুষ সব ছেড়ে আপনার কাছে আসছে, এটা অনুভব করার চেষ্টা করুন, দেখবেন মনটা তার জন্য এমনিতেও নরম হয়ে আসছে। রোমান্টিক হোন, কবিতা পড়ুন, দু’একটা তার সামনে কোট করুন, রোমান্টিক গান শুনুন। গুনগুন করে গাইতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে বাসর ঘরে প্রবেশের সময় যেনো সানাই বাজে সেই ব্যবস্থা করুন। রুমে ফুল রাখুন, হালকা সুগন্ধী ব্যবহার করুন, ডিমলাইট ব্যবহার করুন রাতে। কেয়ার করুন প্রথম দিন থেকেই, তাই বলে দৃষ্টিকটু ভাবে পিছু পিছু ঘুরে বেড়িয়ে তাকে সবার সামনে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। একলা থাকার অনুভুতিটা প্রথম কয়েকদিন যেনো না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরে যাচ্ছেন, সে তৈরি হলো, বলে দিন “খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে”। ন্যাকামি না করেই বলে দিন তার সৌন্দর্যে আপনার মুগ্ধতার কথা, প্রকাশ করুন ভালোবাসার কথা, তবে লাউড স্পিকারে না, একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে। আর বাইরে যাওয়ার ৩-৫ ঘন্টা আগে জানিয়ে দিন কখন বেরোতে চান, নিজে তাড়া দিন যেনো তৈরি হয়। না হলে শাড়ি-গহনা চুজ করা-সাজগোজ করাতেই রাত হয়ে যাবে।শারীরিক মিলনের শুরুতেও ভালাবাসার প্রকাশ রাখুন, রোমান্টিকতা আগে, পড়ে পেরেক মারার কাজ।বাসর রাতে রোমান্টিক আলাপ দিয়েই শুরু করুন, এরপর ভবিষ্যত স্বপ্ন আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা, পারিবারিক বিভিন্ন রীতি-নীতির কথা স্বাভাবিক টোনে বলে যান। জোর করার কিছু নেই, শুধু জানিয়ে দিন এসব দরকারী ব্যাপার। মন ভালো হলে সংসারের খারাপ চাইবেনা সে।হানিমুনের জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা আগেই আলাদা করে রাখুন। বিয়ের ডামাডোলে সব টাকাই খরচ হয়ে যায়, তাই সাবধান।খুনসুটি করুন, মজা করুন, নরমাল ও ১৮+ কৌতুক গুলো বলার জন্য একজন রেডিমেড শ্রোতা পেয়ে গেছেন, কাজে লাগান। তবে বোকার মত নিজে অতীতে কি করেছেন, আপনি কত বাহাদুর তা একের পর এক না বলে গিয়ে তাকেও বলতে দিন। তার মজার কথা গুলো, বাবা-মা-ভাই-বোন-বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে অভিজ্ঞতা গুলো বলার সুযোগ দিন। আপনি নিশ্চিত জেনে যাবেন তার পছন্দ-অপছন্দ-ভালো লাগা-দুর্বলতা। দুজন দুজনকে আবিস্কার করুন। জীবন আপনাদেরই, ভালোভাবে আপনাদেরই শুরু করতে হবে। তাকে বিশ্বাস করুন ১০০%। চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। এটা আনন্দময় বিবাহিত জীবনের মুলমন্ত্র। বিবাহিত জীবনে অনেক সময়ই একঘেয়েমী চলে আসে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্যতা আনুন দুই ক্ষেত্রেই। ঘুরতে যান, মুভি দেখুন। সেক্সের জন্য নানা রকম আসন ট্রাই করুন, নানা ধরনের কনডম ট্রাই করুন। অনেক সময় ভালো মানের পর্নো ছবিও যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনতে সাহায্য করে।
করনীয় ৯:
এন্টাসিড/ইমোটিল/ফ্ল্যাটামিল/ইনো সল্ট কিনে রাখুন। বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া, জোর করেই খাওয়াবে। তেল-মসলার রকমারী। পেট কিন্তু বিদ্রোহ করে বসতে পারে। বদহজম কমন একটা ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে ইনো সল্ট বা ফ্ল্যাটামিল খুব কাজে দেয়। মনে রাখবেন, পেটে শান্তি না থাকলে সেক্স করতে ইচ্ছেও করবে না। এসিডিটির প্রব্লেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, ব্যবস্থা নিন।
করনীয় ১০:
মিষ্টি-ফল-দুধ-ডিম খান বেশি করে। সেক্সের পরেই মিষ্টি-মধু-দুধ-ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে, তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সাথে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েকদিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘন্টা যেনো পুরন হয়। নতুন জীবন সুস্থ-সবল ভাবে শুরু করুন। এর বাইরেও আর যদি আর কিছু জানার থাকে তবে প্রশ্ন করুন।
আমার পাচাল শেষ। আপনেগ কোন আইডিয়া থাকলে জানাবেন।

লাক্স তারকা রাহার লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন

ময়না তদন্তের জন্য লাক্স তারকা সুমাইয়া আজগার রাহার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করার নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।


সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ আবেদন করেন রাহার মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন।
এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম।
আবেদনে বলা হয়, গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে রাহা তার মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিংয়ের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু রাহার বাবা সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি অবহিত না করেই আজিমপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করেন।
এতে বলা হয়, এমতাবস্থায় মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য রাহার লাশ আজিমপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে একজন নির্বাহী হাকিমের তত্ত্বাবধানে সুরতহাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ময়নাতদন্ত করা আবশ্যক।
এ ব্যাপারে একজন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ করার জন্য জেলা হাকিমের কাছে সুপারিশ করারও আবেদন করেন তিনি।
রোববার রাত সোয়া ১০টায় রাহার বাবা আলী আজগার মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, শুক্রবার রাতে ঐশিক ও লামিয়া নামের দুই বন্ধুর সঙ্গে বাসায় ফেরে রাহা। এসময় মাকে নিজের শরীর খারাপের কথা জানালে তার মা তাকে লেবুর সরবত করে দেন। এরপর তার কিছুটা ভালো লাগছে বলে রাতে স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
সকালে তার ঘুম ভাঙানোর জন্য ডাকতে গেলে অনেকক্ষণ তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভাঙ্গেন। দেখেন রাহার দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে।
বলা হয়, “যেহেতু রাহার মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের কাউকে সন্দেহ নেই কিংবা কোনো অভিযোগও নেই, সেহেতু থানা পুলিশকে না জানিয়ে আমরা তার লাশ দাফন করি।’’
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এখোনো কোনো নির্বাহী হাকিমকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেননি।

অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঘর থেকে মুখে তুলে নিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাতে ওই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় মঙ্গলবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মোখলেসুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের কর্ণঝোড়া গ্রামে। তার বাবা-মা ঢাকায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
সে উপজেলার রানীশিমূল ইউনিয়নের বিলভরট গ্রামে নানার বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পাশের আটানিপাড়া গ্রামের আছমত আলী, মজনু মিয়া ও আতিকুল ইসলাম প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত।
গত রোববার রাতে ওই যুবকরা বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা সদস্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকেও ব্যাপক মারধর করা হয়।
অনেক খোঁজাখুজির পর গ্রামের মাঠের একটি সেচঘর থেকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি প্রথমে থানায় জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসারও চেষ্টা চালায় একটি প্রভাবশালী মহল।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্কুলছাত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে।
শ্রীবরদী থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষাসহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।
রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামা কবীর ও রানীশিমুল ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া আতিয়া বানু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিন্দা প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

Monday 25 March 2013

আবার ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব

রোববার প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৪২২। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া হাফিজের সংগ্রহে ৪০০ পয়েন্ট।

গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩-২ ব্যবধানে জয় পাওয়া সিরিজ চোটের কারণে খেলতে পারেননি সাকিব। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে ডান পায়ের পেশিতে অস্ত্রোপচার করানোয় যেতে পারেননি শ্রীলঙ্কা সফরেও।

তবু সাকিবের শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোববার শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে হাফিজের ‘ব্যর্থতা’। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২৩.৬ গড়ে ১১৮ রান করেছেন হাফিজ, উইকেট নিয়েছেন মাত্র চারটি।

এ বছরের শুরুতে ভারত সফরে ভালো খেলার সুবাদে সাকিবকে পেছনে ফেলে ওয়ানডে অলরআউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন হাফিজ।

গাড়ি বাঁচাতে গিয়ে লড়াই এখন মৃত্যুর সঙ্গে

জামায়াতকর্মীদের দেয়া আগুন থেকে নিজের জমানো সব টাকা দিয়ে কেনা টমটম গাড়ি বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন চালক মোহাম্মদ মুসা।
সোমবার হরতালের সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে মুসার টমটমটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। ওই হরতাল ডেকেছিল জামায়াতে ইসলামী।
মুসার স্বজনরা জানিয়েছেন, গাড়িটি বাঁচানোর চেষ্টা করলে পিকেটিংরত জামায়াতকর্মীরা তার শরীরেও পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
আগুনে মুসার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এখন চিকিৎসাধীন মুসা (২৫)।
মুসার চাচা ফজল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার বড় এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি মুসা।
তিনি জানান, পরিবারের অভাব অনটনে হরতাল উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো সকালে টমটম গাড়িটি নিয়ে যাত্রী আনা নেয়া করছিল।
“হরতালকারীরা সকাল ৯টার দিকে টমটমটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ার সময় যাত্রীরা নেমে গেলেও পালিয়ে না গিয়ে মুসা গাড়িটি বাঁচাতে আগুন না দেয়ার অনুনয় করছিল।”
“এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হরতালকারীরা পেট্রোল ঢেলে টমটম এবং মুসার শরীরে আগুন দেয়।”
আগুনে গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মুসার মা সখিনা বেগম হাসপাতালে ছেলের অগ্নিদগ্ধ দেহের পাশে বসে কাঁদছেন।
ছেলের শরীরে আগুন দেয়া জামায়াতকর্মীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে আইসিইউ না থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে মুসাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
মুসার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মুনাফ স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নগরীর বাকলিয়া থানার পূর্ব বাকলিয়ার ওয়াজীপাড়ায় থাকেন।
দলের চট্টগ্রাম নগর কমিটির নায়েবে আমির শাহজাহান চৌধুরীর ভাগ্নে ও ছাত্রশিবিরকর্মী মাঈনুদ্দীন হাসান মুন্নার মৃত্যুতে সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল  ডাকে জামায়াতে ইসলামী।
সারাদিন হরতাল চলাকালে জামায়াতকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন, বিক্ষিপ্ত মিছিল এবং হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থাতে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মহাবিশ্বের বয়স আগের ধারণার চেয়েও বেশি

মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিলো বিগ ব্যাং থেকে। মহাশূন্যে বহমান রশ্মির বিকিরণের ওপর সূক্ষ্ম গবেষণায় জানা যায়, এই বিস্ফোরণ হয়েছিলো প্রায় এক হাজার ৩৮০ কোটি বছর আগে, যা আগের ধারণা থেকে আরও ১০ কোটি বছর বেশি। বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
নতুন উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মহাশূন্যযান ‘প্ল্যাঙ্ক’-এর দেয়া মহাবিশ্বে বহমান মাইক্রোওয়েভ বিকিরণের ওপর পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। ১৯৬৪ সালে প্রথম এই বিকিরণ চিহ্নিত করা হয়। পরে ১৯৮৯ সালে ‘সিওবিই’ এবং এর আরও দু’বছর পর ‘ডব্লিউএমএপি’ নামে নাসা দু’টি মহাশূন্যযান পাঠায় এই বিকিরণের গতিপথ চিহ্নিত করতে।
বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ হ্রাস-বৃদ্ধি জন্ম দেয় গ্রহ, নক্ষত্র আর গ্যালাক্সিগুলোর। প্ল্যাঙ্ক প্রকল্পের বিজ্ঞানী চার্লেস লরেন্স বলেন, ‘বিগ ব্যাং হবার ১০ ন্যানো সেকেন্ডেরও কম সময়ে মধ্যে মহাবিশ্ব ১০০ ট্রিলিয়ন গুণ বিস্তৃত হয়।’
মহাবিশ্বের নতুন মডেল নতুন তথ্য দিলেও জন্ম দিয়েছে নতুন কিছু প্রশ্নের। আগের তথ্যগুলোর সঙ্গে তুলনা করে জানা যায়, মহাবিশ্বের বয়স আগের ধারণার তুলনায় একটু বেশি হলেও এর বিস্তৃত হবার গতি অনেক কম।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, যে সাধারণ বস্তু দিয়ে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রের মতো দৃশ্যমান বস্তুগুলো তৈরি, তা মহাবিশ্বের মাত্র শতকরা ৪.৯ ভাগ জুড়ে আছে। এছাড়া শতকরা ২৬.৮ ভাগ হচ্ছে ‘ডার্ক ম্যাটার’, যা তেমন কোনো আকর্ষণ করে না।আর শতকরা ৬৯ ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে ‘ডার্ক ফোর্স’, যা মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ এবং মহাবিশ্বের বিস্তুতিতে যার ভূমিকা রয়েছে।

Sunday 24 March 2013

কম্পিউটারের গতি বাড়াতে





কম্পিউটারের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতিদিন নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে কম্পিউটার। আর এই প্রয়োজনীয় জিনিসটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে অনেক সময় এর গতি কমে যায়।

অনেক দিন অপারেটিং না দিলেও পিসি স্লো হয়ে যায়। কিন্তু ইচ্ছা করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন অনুসরণ করতে হবে কিছু টিপস। এর মাধ্যমেই বেড়ে যাবে কম্পিউটারের গতি।

* প্রথমেই Start বাটন থেকে Run এ যান। Run এ গিয়ে tree লিখে Enter চাপুন। দেখবেন কমান্ড প্রম্পটের মত একটি কালো উইন্ডো আপনার সামনে ওপেন হয়ে দ্রুত চলে যাবে।
Tree ব্যবহারের ফলে আপনার পিসির সবগুলো ফাংশন দ্রুত কাজ করবে।
* যারা Windows Seven ব্যবহার করেন তারা Start এ গেলেই Run অপশনটি পাবেন না। তাদেরকে যেতে হবে: Start> All programs> Accessories> Run।
* এরপর আবার Start এ ক্লিক করে Run এ যান Prefetch লিখে Enter চাপুন। এখন যে ফাইলগুলো ওপেন হবে সব Delete করে দিন।
‍* একইভাবে, Run এ গিয়ে যথাক্রমে recent, temp, %temp% লিখে Enter চাপুন। ওপেন হওয়া ফাইলগুলো Delete করে দিন।

কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে প্রতিদিন এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন আর বাড়িয়ে নিন আপনার কম্পিউটারের গতি।

পুরুষত্বে সমস্যা – ঘরোয়া সমাধান

বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ জেনে নিন কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রমঃ ক্ষয়মান৷
এই কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে কুন্ঠিত বোধ করছেন? তবে চিন্তা করবেন না কারণ এর চিকিত্সা আপনি এখন আপনার বাড়িতেও করতে পারেন৷ আর আপনি একবার এই সমস্যার সন্মুখীন হলে পরবর্তী সম্পূর্ণ জীবন আপনাকে এভাবে কাটাতে হবে এমন কোন আশঙ্কাতে আপনি থাকবেন না৷
হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিত্সা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কিকি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়–
রসুন :
যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়্ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷
..
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷
পেঁয়াজ :
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকে ই ব্যবহূত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখন ও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় নি৷
সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে এক কথায় spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এঅটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷
গাজর :
150গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷
কাজেই এখন আর দুধ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি মেনে চলে দেখুন হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷

ঝুঁকিপূর্ণ ডিভাইসের খোঁজে ইন্টারনেট স্ক্যান

 
 
 
ঝুঁকিপূর্ণ ডিভাইসের খোঁজে পুরো ইন্টারনেট স্ক্যান করে ফেলেছেন এক গবেষক। বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, টানা নয় মাসের জরিপে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে এমন কয়েক কোটি প্রিন্টার, ওয়েবক্যাম, সেট-টপ বক্স এবং মডেমের খোঁজ পেয়েছেন তিনি। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলেও নিজের নামটি গোপন রেখেছেন ওই গবেষক।
বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের ৪২০ কোটি ডিভাইসে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। নয় মাসের জরিপটি চালাতে চার লাখ ২০ হাজার ডিভাইস ব্যবহার করেন ওই গবেষক। ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরখ করে দেখতে ওই চার লাখ ২০ হাজার ডিভাইস থেকে ৪০ কোটি মেসেজ পাঠান ওই গবেষক। বিশেষভাবে লেখা একটি কোড ব্যবহার করে ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরখ করেন তিনি। ইন্টারনেট সংযোগধারী ৪২০ কোটি ডিভাইসের মধ্যে সাড়া দেয় ১৩০ কোটি ডিভাইস।
এই ইন্টারনেট স্ক্যান থেকে বিস্ময়কর ফলাফল পান ওই গবেষক। পাঁচ লাখ প্রিন্টার, ১০ লাখ ওয়েবক্যাম এবং সেট-টপ বক্স এবং মডেমের মতো ডিভাইসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। অনেক ডিভাইসেই রয়ে গেছে ‘ফ্যাক্টরি’ পাসওয়ার্ড। অনেক ক্ষেত্রেই ‘রুট’ বা ‘অ্যাডমিন’-এর মতো সহজ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে পাসওয়ার্ড হিসেবে।
সাইবার অপরাধ সংগঠনে এই ডিভাইসগুলো সহজেই ব্যবহার করতে পারে হ্যাকাররা। বটনেট হিসেবে পরিচিত সাইবার অপরাধীদের নেটওয়ার্ক, স্প্যাম পাঠানো, ডেটা চুরি করা বা কোনো সাইটের ওপর পরিকল্পিতভাবে সাইবার আক্রমণ চালাতে ইন্টারনেট সংযোগধারী ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই দুর্বলতাই ব্যবহার করে হ্যাকাররা।

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করতে চায় কুয়েতি প্রতিষ্ঠান


যুদ্ধাপরাধী ব্যক্তি ও সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন থেকে ব্যাংকটি বর্জনের আহ্বানের মধ্যে মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকটির ১৫ শতাংশ শেয়ারধারী এই তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চিঠির উত্তরে এসইসি জানিয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শেয়ার বিক্রিতে কোনো বাধা নেই; যে চিঠির অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে রয়েছে।
কুয়েতের পাবলিক ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সিকিউরিটি, কুয়েত আওকাফ পাবলিক ফাউন্ডেশন এবং কুয়েত ফাইন্যান্স হাউজ তাদের শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছে।
তিন প্রতিষ্ঠানের কাছে ইসলামী ব্যাংকের ২০ কোটি ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২২৫টি শেয়ার রয়েছে, রোববারের বাজারমূল্যে যার দাম প্রায় ৮৬১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
৩০ বছরের পুরনো ইসলামী ব্যাংকের মোট শেয়ারসংখ্যা ১২৫ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার।

ইসলামী ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তাদের বিদেশি অংশীদারদের হাতে বর্তমানে প্রায় ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির উত্তরে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম লিখেছেন, “তারা এসইসির নোটিফিকেশনগুলো মেনে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।”
২৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লেখা বিএসইসির ওই চিঠিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ঠিকানাও সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে রোববার পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেয়নি।
পুঁজিবাজারে উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে একমাস আগে তার ঘোষণা দেয়া বাধ্যতামূলক।
তবে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে তিন প্রতিষ্ঠান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিলেও যে ব্যাংকের শেয়ার তারা বিক্রি করতে চান সেই ইসলামী ব্যাংক এবিষয়টি না জানার কথা জানিয়েছে।
ব্যাংকটির মুখপাত্র আতাউর রহমান রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের কোনো খবর আমাদের জানা নেই। পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন লাগে। এ ধরনের কোনো বিষয় আমাদের কাছে আসেনি।”
ফেব্রুয়ারি মাসে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যুদ্ধাপরাধী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম আসার পর বড় ধরনের সঙ্কটে পড়ে ইসলামী ব্যাংক।
বিভিন্ন শাখার গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক, বিভিন্ন স্থানে হামলার মুখে পড়ার পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এই ব্যাংকের এলসি নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ওই পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চায় ইসলামী ব্যাংক, জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ যার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নজর রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি আগে থেকেই ছিল। ২০১০ সাল থেকেই এই ব্যাংকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।

Saturday 23 March 2013

মোবাইল ফোনে ফোল্ডার লুকোচুরি


মোবাইল ফোনের মেমরিতে একজন ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ধরনের  গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ও বিষয় থাকতে পারে। আপনি হয়তো চান না, আপনার ফোনে সংরক্ষিত ডেটা ও বিষয় অপর একজন খুব সহজেই পেয়ে যাক বা দেখে ফেলুক। অনেকের স্বভাব অন্যের মোবাইলের মেমরি কার্ড এ কি কি আছে ঘাটা-ঘাটি করে দেখা।
তাই যাদের মোবাইল ফোনে .nth যুক্ত থিম্ সাপোর্ট করে, তারা কিছুটা চালাকি করে গোপনীয় ফোল্ডার গুলোতে সহজেই অনাধিকার প্রবেশ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
এ জন্য আপনি আপনার গোপনীয় ডেটা একটি নতুন ফোল্ডার এ রেখে ফোল্ডার এর একটি নাম দিন।
ধরুন, RANDOM নামে একটি ফোল্ডার খুলে এর মধ্যে গোপনীয় ডেটাগুলো রাখলেন।
এবার ফোল্ডার এর RENAME  অপশন এ যেয়ে নামের শেষে .nth লিখে SAVE করুন। ( RANDOM নামের ফোল্ডারটির নাম হবে তখন RANDOM.nth )।
এবার দেখুন ফোল্ডারটির আইকন পরিবর্তন হয়ে থিম্ এর আইকন এর মত দেখাচ্ছে। এবং RANDOM.nth নামের ফোল্ডারটিকে তখন আপনার কাছে একটি থিম্ বলেই মনে হবে।
এবার অই ফোল্ডারটিকে  আপনার মোবাইলের সকল থিম্ যে ফোল্ডারে রেখেছেন, সেখানে রাখুন। তখন সকল থিম্ এর মাঝে ফোল্ডারটি থিম্ এর মতই মনে হবে। সবাই থিম্ মনে করে সেই ফোল্ডারে আর ঢুকবে না। কারণ থিম্ দেখতে চাইলে অবশ্যই তাকে থিম্ গুলো এপ্লাই করে দেখতে হবে, যা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
বি.দ্র.: এ ক্ষেত্রে ফোল্ডারটি কিন্তু হাইড হচ্ছে না, শুধু মাত্র থিম্  এর আইকন ধারণ করে বলেই থিম্ এর মত বলে মনে হয়। থিম্  মনে করে ডিলিট করে দিলে কিন্তু সেক্ষেত্রে করার কিছুই থাকবে না।

Game: বড় দাঁতওয়ালা দানব "ভূত- দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড"


ভুতুড়ে গল্প নিয়ে জনপ্রিয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফানকম তৈরি করেছে দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড। ইলেক্ট্রনিক আর্টের যৌথ প্রকাশনায় গেমটি গত ৩ জুলাই মুক্তি পেয়েছে। বাজারে আসার পরপরই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গেমটি। মাল্টিপ্লেয়ার মুডের ও অ্যাকশনধর্মী গেমটির ডিজাইন করেছেন নরওয়ের জনপ্রিয় গেম নির্মাতা র‌্যাগনার টর্নকুইস্ট ও মার্টিন ব্রাশগার্ড।
কাহিনীঃ  একটি পৌরানিক কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড। গেমার নিজের রাজত্ব হিসেবে ইচ্ছা করলে নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি শহরকে বেছে নিতে পারবে। গেমের কাহিনীর ধরনেও আনা যাবে পরিবর্তন। এছাড়া নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র থেকে নিজের জন্য উপযুক্তটি বেছে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে পৌরানিক ও লোককাহিনীর পাশাপাশি অন্ধকার ও যড়যন্ত্রও মোকাবেলা করতে হবে গেমারকে। গেমে রয়েছে দাঁতওয়ালা ভূত-পেতের আনাগোনা। গেমার কোনো কারণে পিছু হটলে ঘাড় মটকে ধরে বনের গভীরে নিয়ে যাবে এরা। গেমের শুরুতে চার সপ্তাহ আগে গেমার কীভাবে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়েছে তার একটি দৃশ্যপট দেখা যাবে। এরপর জঙ্গলের একটি বিশেষ পাতা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখবে সে। গেমার পাতাটি হাতে নিয়ে পরখ করার পরপরই আশপাশে আজব সব প্রাণী অবস্থান লক্ষ্য করবে।
গেমটি খেলতে যা লাগবে: উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিসপ্যাক থ্রি, ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজ অথবা এএমডি প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ২০ গিগাবাইট হার্ডডিক্স স্পেস, ৫১২ মেগাবাইট সমৃদ্ধ এনভিডিয়া ৮৬০০ জিটি গ্রাফিক্স কার্ড ও ডিরেক্ট এক্স ৯.০ সাউন্ড কার্ড।

বাচ্চা তো, বাপরে বাপ !!!

এক বাচ্চা ছেলে থানায় ফোন করেছে …
পুলিশঃ “হ্যালো”
ছেলেঃ “হ্যালো থানা??”
পুলিশঃ “হ্যাঁ”
ছেলেঃ “আপনাদের ওখানে টয়লেট আছে??”
পুলিশঃ “হ্যাঁ!!”
ছেলেঃ “ওখানে কমোড আছে??”
পুলিশঃ “হ্যাঁ…কেন ?!?!?!”
ছেলেঃ “কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকেন” বলে সে ফোন রেখে দিল!
পুলিশ গেল রেগে…সে টেলিফোন অফিস থেকে ওই নাম্বার জোগাড় করে ফোন দিল
[ফোন ধরল ছেলের বাবা]
বাবাঃ “হ্যালো”
পুলিশঃ “এই নাম্বার থেকে একটা ছেলে ফোন করে আমাকে বলছে যে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে” ! :@
বাবাঃ “কতক্ষণ আগে??”
পুলিশঃ “এই দশ মিনিট”
বাবাঃ “আচ্ছা দুঃখিত, এখন মাথা বের করেন কমোড থেকে…”  !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :P :P

অভিনয়শিল্পী অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী বর্ষা।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বিডিনিউজকে জানান, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় অনন্তের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে জিডি করেন তারই ছবির নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
ওসি জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানায় জিডি করতে আসেন


মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসিন্দা বর্ষা।
তিনি জিডিতে অভিযোগ করেন, তার স্বামী এম এ জলিল অনন্ত তাকে মারধর করেছেন।
ওসি জানান, একটু পরেই থানায় এসে অনন্ত মিটমাটের চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা একসঙ্গে থানা থেকে বের হন।
বর্ষা কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন- তা উল্লেখ করে সন্ধ্যায় জলিল অনন্তও একটি জিডি করেন বলে ওসি জানান।
২০১০ সালের ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ ছবিটির মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রযোজনার খাতা খুলেন অনন্ত। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন বর্ষা।
২০১১ সালের ২৩ সেপ্টম্বের বিয়ে করেন অনন্ত-বর্ষা। অনন্তের আরো কয়েকটি ছবিতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন বর্ষা।