Tuesday 26 March 2013

অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঘর থেকে মুখে তুলে নিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাতে ওই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় মঙ্গলবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মোখলেসুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের কর্ণঝোড়া গ্রামে। তার বাবা-মা ঢাকায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
সে উপজেলার রানীশিমূল ইউনিয়নের বিলভরট গ্রামে নানার বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পাশের আটানিপাড়া গ্রামের আছমত আলী, মজনু মিয়া ও আতিকুল ইসলাম প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত।
গত রোববার রাতে ওই যুবকরা বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে থাকা সদস্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকেও ব্যাপক মারধর করা হয়।
অনেক খোঁজাখুজির পর গ্রামের মাঠের একটি সেচঘর থেকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি প্রথমে থানায় জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসারও চেষ্টা চালায় একটি প্রভাবশালী মহল।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্কুলছাত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে।
শ্রীবরদী থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, বুধবার ডাক্তারি পরীক্ষাসহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।
রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামা কবীর ও রানীশিমুল ইউনিয়ন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া আতিয়া বানু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিন্দা প্রকাশ করেন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।